রোববার কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম-৩ দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় বলে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান।
এরা হলেন মাদ্রাসা ইবনে মাসউদ-এর হেফজ বিভাগের ছাত্র আবু বক্কর ওরফে মিঠুন ও সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এই দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে আদালতে হাজির করা হয়।
পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার জানান, শহরের নির্মাণাধীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪২৭/৩৪ ধারার মামলায় আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। গত মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানি শেষে মাদ্রাসার দুই ছাত্রের পাঁচ দিন এবং দুই শিক্ষকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
তিনি জানান, এদের মধ্যে চার দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দেলোয়ার হোসেনের খাস কামরায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আল আমীন (২৭) এবং পাবনার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী (২৭) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
কুষ্টিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। একই পাটাতনে জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যও থাকবে।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ওই ভাস্কর্যের কাজ প্রায় শেষ দিকে ছিল; গত শুক্রবার রাতের হামলায় ভাস্কর্যটির ডান হাত, পুরো মুখমণ্ডল ও বাঁ হাতের আংশিক ভেঙে ফেলা হয়।
পরদিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদ্রাসা ইবনে মাসউদ-এর দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।