মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এনামুল হক এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নিশিকান্ত দাস।
গত সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতের বিচারক রেজাউল করিমের আদালতে আসামিদের হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ।
তিনি ছুটিতে থাকায় মঙ্গলবার শুনানি করেন বিচারক এনামুল হক। চার আসামির মধ্যে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের দুই ছাত্রকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান তিনি। আর ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
এই চারজন হলেন, মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র এবং মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯), দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) এবং দুই শিক্ষক হলেন মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো.আলামিন (২৭)ও পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী দলের বিরোধিতার মধ্যেই শুক্রবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সেই ঘটনা ধরা পড়ে স্থানীয় সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেখানে দেখা যায়, শুক্রবার রাত সোয়া ২টার পর টুপি মাথায় পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত দুইজন পায়ে হেঁটে এসে বাঁশের মই বেয়ে উঠে নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুর করে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। একই পাটাতনে জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যও থাকবে।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ওই ভাস্কর্যের কাজ প্রায় শেষ দিকে ছিল; গত শুক্রবার রাতের হামলায় ভাস্কর্যটির ডান হাত, পুরো মুখমণ্ডল ও বাঁ হাতের আংশিক ভেঙে ফেলা হয়।
ওই ঘটনার পর থেকে দুই দিন ধরে কুষ্টিয়া শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন করছেন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।