সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীরের আদালত বুধবার দুপুরে বাদীর জেরা পর্ব শুরু করার আদেশ দেয়; কিন্তু আসামিপক্ষ বাদীকে জেরা করেনি বলে জানান পিপি আব্দুল লতিফ।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালত মামলাটি ৯০ কার্যদিবসে শেষ করতে বলেছে। কিন্তু আসামিপক্ষ এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে বলে আদালতকে জানিয়েছে। তাই তারা বাদীকে জেরা করতে অস্বীকৃতি জানায়।
পিপি মামলার নথির বরাতে জানান, ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক গৃহবধূকে দেখতে আসেন। ওই গৃহবধূ ধর্ষণের পর হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতাল থেকে শেখ হাসিনা ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়।
এ ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পিপি লুৎফর বলেন, মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ চান আসামিরা। চলতি বছর ২২ অক্টোবর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ৯০ কার্যদিবসে বিচারকাজ শেষ করার আদেশ দেয়। সেই মামলায় বুধবার বাদীকে জেরা করার আদেশ দেয় আদালত।