সুনামগঞ্জে গৃহবধূকে ‘দলবেঁধে’ ধর্ষণের অভিযোগ

সুনামগঞ্জ সদরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক এক কাউন্সিলরসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2020, 04:11 PM
Updated : 19 August 2020, 04:11 PM

সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই আল মামুন বলেন, মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার জলিলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় বুধবার দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয় জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন পৌর শহরের জলিলপুরের শাহজাহান (৩৫), আরমান (৩০), জুয়েল মিয়া (৩২), সামছুদ্দিন (২৮), জহুর মিয়া লিটন (৪২) ও আনোয়ার হোসেন(৫৫)। এরা হলেন মামলার আসামি।

এদের মধ্যে জহুর মিয়া লিটন সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।

মামলার বরাতে এসআই মামুন বলেন, মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের তেরহাল গ্রামের এক গৃহবধূ (৩৮) ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য সুনামগঞ্জ পৌরসভার জলিলপুরের শাহাব উদ্দিনের কাছে সুদে টাকা ধার আনতে যান।

মামুন বলেন, শাহাব উদ্দিন স্থানীয় জুয়েল মিয়ার কাছ থেকে বুধবার সকালে টাকা সংগ্রহ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং রাতে তার বাড়িতে থেকে যেতে বলেন।

রাতে তারা ওই গৃহবধূকে একটি নৌকায় তুলে জলিলপুর গ্রাম সংলগ্ন নৈন্দা বিল এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে চারজনে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়, বলেন এসআই মামুন।

এ সময় তারা এই নারীকে মারধর করে বলেও তিনি মামলায় অভিযোগ করেন।

মামুন আরও বলেন, পরে সাবেক কাউন্সিলর জহুর মিয়া লিটনের কাছে গৃহবধূকে রেখে ধর্ষণকারীরা চলে যায়। পরে জহুর মিয়া লিটন ও আনোয়ার হোসেনও তাকে ধর্ষণ করেন।

বুধবার ভোরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ জলিলপুর এলাকার একটি দোকানের পেছন থেকে গৃহবধূকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এসআই মামুন বলেন, এই গৃবধূকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান প্রথমে চার জন ও পরে আরও দুই জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

বিকালে পুলিশ ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কুদরত ই এলাহি তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এসআই মামুন বলেন, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় জনকেই আটক করেছে। ওই নারীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, “নির্যাতনের শিকার নারীর শারীরিক অবস্থা এখন ভালো।”