রোববার বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে দুইজন এবং বেসরকারি টিএমএএস মেডিকেল কলেজে ও রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালে একজন করে মারা যান।
এছাড়া করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
প্রয়াতরা হলেন জেলার আদমদীঘি উপজেলার বাসিন্দা (৮০), গাবতলী উপজেলার হামিদপুর এলাকার স্কুল শিক্ষক (৫৯), বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় বসবাসকারী প্রকৌশলী (৫৪) ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার বাসিন্দা (৭৫) এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার বাসিন্দা ট্রাক শ্রমিক (৩৫)।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. খায়রুল বাশার মোমিন জানান, রোববার বেলা ৩টার দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মারা যান আদমদীঘি উপজেলার ৮০ বছর বয়সী এক নারী। শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১৩ জুন আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগে আক্রান্ত ওই বৃদ্ধা করোনাভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন।
তিনি জানান, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে করোনায় আক্রান্ত গাবতলীর হামিদপুরের বাসিন্দা এক স্কুল শিক্ষক (৫৯) মারা যান। গত ২০ জুন দুপুর ১২টার দিকে এই হৃদরোগী শ্বাসকষ্ট নিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
খায়রুল জানান, দুপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দুপচাঁচিয়ার এক বাসিন্দার (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। পেশায় ট্রাক শ্রমিক এ যুবক শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোববার ভোরে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরীক্ষার জন্য তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছিল।
টিএমএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম রুবেল জানান, রোববার সকাল ৮টার দিকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক প্রকৌশলী (৫৪) ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। তার বাড়ি পাবনা হলেও পরিবার নিয়ে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় বাস করতেন তিনি।
তিনি জানান, এ প্রকৌশলীর মৃত্যুর প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক ব্যক্তির (৭৫) মৃত্যু হয়। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়।