নরসিংদীর বাবুরহাট বাজার ফের বন্ধ

ঈদ সামনে রেখে শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় দেশীয় কাপড়ের সবচেয়ে বড় বাজার নরসিংদীর বাবুরহাট আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাসের বিস্তারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কারণে।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2020, 10:12 AM
Updated : 17 May 2020, 12:12 PM

নরসিংদীর কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন রোববার দুপুরে এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে দুই দফায় বাবুরহাট চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে শর্ত পালন না করায় এবং হাটের লেনদেন শেষের দিকে চলে আসায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় বাবুরহাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে শিলমান্দী ইউনিয়নে অবস্থিত বাবুরহাট মূলত পাইকারি কাপড়ের বাজার। এ বাজার থেকে সারা দেশেই গামছা, লুঙ্গী, থান কাপড় যায়। দেশের বাইরে রপ্তানিও করা হয়।

এই বাজারকে কেন্দ্র করে জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত কাপড় ব্যবসায়ী ও হাজার হাজার শ্রমিক। ঈদের মৌসুমে প্রতিদিন এ হাটে প্রায় হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়ে থাকে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে এ বাজার বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েন। অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সঙ্কটে পড়ার কথা জানাচ্ছিলেন।

এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আবেদনে ২৫ এপ্রিল থেকে ৫ মে শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে বাবুরহাটের দোকানগুলো খোলার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। পরে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়।

শর্তগুলোর মধ্যে ছিল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও অনলাইনের মাধ্যমে বেচাকেনা করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। তিনজনের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা কোনো দোকানে থাকতে পারবে না।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বাবুরহাট বাজারের সব আড়ত ও দোকানে পাইকারি ও খুচরা সব ধরনের পণ্যের আদেশ শুধু অনলাইনে বা মোবাইল ফোনে নেওয়ার কথা শর্তে বলা থাকলেও অনেক ব্যবসায়ী তা মানেননি।

অনেকে দোকান খোলা রেখে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বেচাকেনা করেছেন। ক্রেতা বাড়ায় বাজারে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার সুযোগও থাকেনি।

এদিকে এই সময়ে মধ্যে জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকায় বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নরসিংদীতে এ পর্যন্ত ২৯২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।