বুধবার জেলা ও দায়রা জজ এবং মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এসব মামলার শুনানি হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী এস্কেন্দার আজম বাবলু জানান।
তিনি বলেন, দায়রা জজ আদালতে আইনজীবীদের করা আবেদনের মধ্যে ১১টি মামলার শুনানি হয়েছে; যার মধ্যে হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ কামরুল হাসান কয়েকজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এছাড়া বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারিক হাকিম মোস্তাফা পারভেজের আদালতেও কয়েকটি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয় বলে এস্কেন্দার জানান।
এ আদালতের আইনজীবী শাখারুল ইসলাম শাকিল বলেন, সশীরের উপস্থিত না হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজ চেম্বারে বসে বিচারকের সামনে শুনানি উপস্থাপন করেন তিনি। প্রথম দিনেই ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে এক আসামিকে জামিন করিয়েছেন।
আরেক আইনজীবী আব্দুর রশিদ বলেন, ভার্চুয়াল আদালতে তার তিনটি আবেদন ছিল; যার মধ্যে দুই মামলায় পাঁচজন আসামি জামিন পেয়েছেন।
ভার্চুয়াল আদালতের ধারণা বাংলাদেশে আইন ব্যবস্থাপনায় একটি ‘যুগান্তকারী ঘটনা’ উল্লেখ করে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ শাহিন বলেন, “এর মাধ্যমে দুর্যোগকালীন সময়েও আইনের শাসন সমুন্নত থাকছে। এ কার্যক্রমে বিচার প্রার্থীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত হচ্ছে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালত চালানোর জন্য আইন করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগসহ দেশের সব নিম্ন আদালতে বিচারক ও আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুনানির বিধান রাখা হয়েছে।