চা বাগানে কীর্তন শিল্পীর মৃত্যুতে আতঙ্ক

মৌলভীবাজারের এক চা বাগানে এক কীর্তন শিল্পী মারা যাওয়ায় এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে; পরিস্থিতি সামলাতে নামে পুলিশ।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2020, 05:50 PM
Updated : 30 March 2020, 05:50 PM

সোমবার দুপুরে শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাজদিহি চা বাগানের ৭নং লাইনে এক বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।

তবে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাত হোসেন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই শিল্পী ‘জলবসন্ত ও নিমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়’ মারা গেছেন।

‘জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে’ মারা যাওয়ায় বাগানের শ্রমিকরা এটিকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহ করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এলাকায় গিয়ে মাইকিং করে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়।

শ্রীমঙ্গল থানা ওসি আব্দুস ছালিক জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেন।

ডা. সাজ্জাদ জানান, ‘জলবসন্ত’ (চিকেন পক্স) এ ৫/৬ দিন ধরে আক্রান্ত ছিলেন শিল্পী। তার শরীরে জলবসন্তের দাগ পেয়েছেন তিনি।

“জলবসন্তের কারণে সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে ফুসফুসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।”

এ ব্যাপারে মাজদিহি চা বাগান হাসপাতালের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট আমিরুল আলম বলেন, “গত শুক্রবার জ্বর নিয়ে বাগানের হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

“সোমবার সকালে তার বাসা থেকে খবর দিলে আবার তার বাড়ি গিয়ে তার জ্বর, তীব্র শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যাথা দেখি।”

এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমক্সের সাথে যোগাযোগ করে এ উপসর্গের ওষুধ দেন এবং তাকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকার পরামর্শ দেন বলেও জানান তিনি।

“দুপুর ১টার দিকে তিনি মারা যান।”

কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রজমান মজুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, খবর শুনে তিনি উপজেলা প্রশাসনকে ঘটনা জানালে স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

তিনি জানান, মৃত ব্যক্তি একটি কীর্তন দলের সদস্য হিসেবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কীর্তন করে বেড়াতেন। ১০-১২ দিন আগে বাড়ি ফেরেন তিনি। ৫-৬ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি।