রায়পুরা থানার এসআই দেব দুলাল জানান, শনিবার কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়; এ সময় ছয়টি বাড়িঘরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
নিহত সোনিয়া (১৩) কালিকাপুর গ্রামের জালাল মিয়ার মেয়ে ও সদাগরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
আহতদের নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ কালিকাপুর গ্রামের অহিদ মিয়ার ছেলে আব্দুস সাত্তার (৩২) ও আবু সামাদের ছেলে সবুজকে (২৪) আটক করেছে বলে জানান এসআই দেব দুলাল।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দেবদুলাল বলেন, উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাবুল মিয়া ও নাসির মিয়ার মধ্যে বিরোধ ছিল।
“এর জেরে শনিবার সকালে দুইপক্ষের লোকজন টেঁটা, বল্লমসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১১ জন আহত হয়।”
এসআই দেব দুলাল বলেন, এ সময় উভয়পক্ষের ছয়টি ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুই ব্যক্তিকে আটক করে।
দেব দুলাল বলেন, সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ স্কুলছাত্রী সোনিয়াকে স্বজনরা প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, আহত কালিকাপুর গ্রামের শবুর মিয়া (৫০), জাকির মিয়া (৩৮), ফরিদ মিয়া (৬০), জালাল মিয়া (৪০), রুবিনা খাতুন (৬০), হেলাল মিয়া (৩২), মুক্ত আক্তার আনু (৩৩), মুগল হোসেন (৩৮), মাছুম (২৫) ও বাছেদকে (৩২) নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।