বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় যশোর শহরের গাড়ীখানা সড়কে পুলিশ ক্লাব মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে।
যশোরের স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এ মেলায় সার্কাসসহ শিশুদের বিনোদন, প্রসাধনী, বস্ত্র ও গৃহস্থালী পণ্যসহ নানান খাবার দাবারের ব্যবস্থা থাকছে।
তবে করোনাভাইরস সংক্রমণের শঙ্কায় এরই মধ্যে মুজিববর্ষের শুরুতে সরকারের পূর্বনির্ধারিত মূল অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজসহ সব সমাবেশ স্থগিত করেছে সরকার।
ফলে যশোরের এ মেলার আয়োজন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে এ মেলার আয়োজন সম্পর্কে ‘জানতেন না’ বলে বলছেন জেলা প্রশাসক ও জেলার সিভিল সার্জন।
এ মেলার সম্পর্কে কিছুই জানেন না উল্লেখ করে যশোরের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন, আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, আমরা এক স্থানে অনেক জনসমাগমে নিরুৎসাহিত করছি।
এর সাথে “আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে কোন মেলা বন্ধের কথা বলেননি” যোগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, “আমি নিরুৎসাহিত করেছিলাম।
“অল্প সময়ের মধ্যে এর সমাধান করে ফেলব। আয়োজন ছোট করে আনা হচ্ছে।”
শুধু এ মেলাই নয় যশোর শহরতলীর বাহাদুরপুরে সাদপন্থি তাবলীগ জামাতের ইজতেমার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা সব ধরনের আয়োজন ছোট করার কথা বলছি।”
যশোরে পুলিশ ক্লাবের এ মাঠে বছরে কয়েক বার মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। মূলত ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মেলা আয়োজন করা হয়। এতে কাপড় ও প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হন বলে ক্ষুব্ধ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এমন মেলা আয়োজনের প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে কয়েক দফা স্মারকলিপি দিয়েছেনও তারা।