বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিসিআইসির নাটোর গুদামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সার উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে ডিলাররা সার তুলছেন না বলে জানান নাটোর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার।
পাকশি গোডাউনটি বন্ধ করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের কথা পেড়ে তিনি বলেন, “এ কারণে সেখানে যে সব সার আছে তা দ্রুত খালি করতে হবে।
সেখানে ‘কিছু সার পুরনো’ স্বীকার করে এ গুদাম কর্মকর্তা বলেন, সেগুলো তো ফেলে দেওয়া যায় না। তাই ডিলারদের নতুন সারের পাশাপাশি কিছু কিছু করে পুরাতন সার নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
পাকশিতে ডিলার না থাকায় উত্তরাঞ্চলের তিনটি জেলার ডিলারদের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ বলে জানান তিনি।
এরআগে গত বুধবার সন্ধ্যায় নাটোর শহরের এক রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা সার উত্তোলন বন্ধের ঘোষণা দেন।
সে সময় উত্তরবঙ্গ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, পাকশি সার গুদামে আগের অবিক্রিত সার মজুদ রয়েছে। জমাট বেঁধে যাওয়া এসব সার ইটভাঙা যন্ত্র দিয়ে ভেঙে ডিলারদের সরবরাহ করা হচ্ছে।
বাফা নাটোর কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, “বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ ডিলারদের চাহিদার ন্যূনতম পাঁচ শতাংশ পরিমাণ সার পাকশি গুদাম থেকে কেনা বাধ্যতামূলক করেছে।
“তা না নিলে অন্য গুদাম থেকে ডিলারদের সার সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাই পাকশিসহ সব গুদাম থেকে সার উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
গত কয়েক দিন ধরে সেখান থেকে সার তুলতে ডিলারদের বাধ্য করছে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ বলে জানান তিনি।
কৃষকরাও বাধ্য হয়ে এসব সার কিনে প্রতারিত হচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুরের ধানচাষি মিজানুর রহমান বলেন, ডিলারদের আন্দোলনের কারণে আমরা খুচরা বাজারে ঠিকমত সার পাচ্ছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে সার কোথায় পাব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
ধানের জমিতে এখন তো পুরোদমে সার দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন,“সার ড়া তো ধান চাষ করার কথা ভাবাই যায় না।”
সিংড়ার শেরকোলের সাইফুর রহমান বলেন, “চলনবিল জুড়ে রোপা আমন ধান রোপন করা হয়েছে। এখন প্রতিটি জমিতে সার দিতে হবি, অথচ ব্যবসায়ীরা চাহিদা মত সার দিচ্ছে না।“