ভোলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ভোলার সদরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে জুস খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2020, 04:29 PM
Updated : 21 Jan 2020, 04:29 PM

মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগের দিন উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নে এ ঘটনার শিকার হয় সে।

ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সি গ্রামের ওমর আলীর ছেলে ও ওই ইউনিয়নের পোস্ট অফিসের রানার শের আলীর বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে মেয়েটির পরিবার।

ভোলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান ভুইয়া জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির শরীরে আচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাকে হাসপতালে ভর্তি করেছি। বাকী পরীক্ষা নারী ডাক্তার করবে।

এ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা আক্তার বলেন, “আমরা প্রথামিকভাবে পরীক্ষা করে ধর্ষিতার বুকে আচড়ের চিহ্ন ও যৌনাঙ্গে ধর্ষণের আলামত পেয়েছি।”

মেয়েটির বাবা জানান, তার আট বছর বয়সী মেয়ে ইলিশা ইউনিয়নের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন সে বাড়ি থেকে পায় হেঁটে স্কুলে যায়।

“সোমবার সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই এলাকার পোস্ট অফিসের রানার মো. শের আলী তাকে জুস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পোস্ট অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জুস খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে।

“তার চেতনা ফিরে এলে তাকে আবার স্কুলে পাঠিয়ে দেয় এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষক শের আলী।”

বিকালে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার সময় পথে কয়েক বার মাথা ঘুরে পরে যায় সে। অন্য শিক্ষার্থীরা তখন তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয় বলে জানান তিনি।

তবে ভয়ে ধর্ষণের কথা বাড়িতে বলেনি। তবে তার জামা খুলে শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন দেখে অনেকবার জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে জানান মেয়েটির বাবা।

ওই শিশুর বাবা জানান, মঙ্গলবার সকালে মেয়ের অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতাল আনার সময় শেরে আলীর পরিবারের লোকজন তাদেরকে হাসপাতালে আসতে বাধা দেয়। তারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংশা করে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা করানোর কথা বলে। পরে তারা স্থানীয়দের সহায়তায় ভোলা সদর হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে জানতে শের আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা গিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় ধর্ষিতার পরিবার।