রোববার কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম ঘটনার প্রায় ১৪ বছর পর সাত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডিত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
মামলার অপর দুই আসামিকে তিন বছর ও এক বছর করে কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণতি না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কুলিয়ারচর উপজেলার ভাটিজগৎচর গ্রামের তাজুল ইসলাম (কসাই), গোলাপ মিয়া ও বিল্লাল মিয়া।
একই গ্রামের আবু কালামকে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং শামছু মিয়াকে এক বছরের কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আবু সাঈদ ইমাম বলেন, কুলিয়ারচর উপজেলার ভাটিজগৎচর গ্রামে ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সকালে হাছেন আলী প্রধান (হাছু) হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী মনির উদ্দিনকে জাফরাবাদ মোড়ের একটি চায়ের দোকান থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় আসামিরা।
“পরে সেখান থেকে একটি ধানের খলায় নিয়ে হাত-পাসহ গাছের সঙ্গে বেঁধে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ডান পা কেটে ফেলে।”
ঘটনার প্রায় দুইমাস পর ২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আহত মনির উদ্দিনের বড় ভাই মো. সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেন।
আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট ইফতেখারুল ইসলাম পাভেল মামলাটি পরিচালনা করেছেন।