শনিবার বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, বরগুনায় ৩৪১টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ৫০৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে পাঁচ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিতে পারবে।
“যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে, তাদের জন্য দুপুরে খাবারের জন্য চলছে খিচুড়ি রান্না।”
জেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে ১০ লাখ টাকা, গবাদী পশুর খাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা, ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩৫০ প্যাকেট খাবার পেয়েছেন।
তারা আরও ‘দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রেখেছেন।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম,‘নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারিবর্ষণসহ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
‘নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’
বরগুনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ব্রহ্ম জানিয়েছেন, জেলার ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
জেলায় ৬ হাজার ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপজেলা টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ।
বিআইডবলিউটিএ-র পোর্ট অফিসার মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, বরগুনা থেকে সব রুটে নৌচলাচল বন্ধ রয়েছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বেশির ভাগ ট্রলারই পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে ফিরে এসেছে।
“যারা বঙ্গোপসাগরে ছিল, তারাও ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছে।”