নিহত নার্গিস সদর উপজেলার চকমোহন গ্রামের মামুনুর রশীদের মেয়ে।
মামুনুর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি নার্গিসের সঙ্গে অজিৎ পাহান নামে এক ব্যক্তি সঙ্গে বিয়ে হয়। এর আগে অজিৎ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
“অজিৎ অন্য ধর্মের হওয়ায় বৃহস্পতিবার মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সালিশ বৈঠক করে সেখানে আমার মেয়েকে মারধর করেন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করে।”
নার্গিসের এটি দ্বিতীয় বিয়ে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আতাউর বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে আমার কাছে তথ্য আসে, এই বিয়েকে কেন্দ্র করে দুই ধর্মের অধিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। এ কারণে তাদের দুইজনকে নিয়ে আমার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক করি। বৈঠক চলাকালে নার্গিস উপস্থিত সবার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করলে কিছুটা শাসন করি। মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়। বৈঠক শেষে সে চলে যায়। পরে জানতে পারি সে ট্রেনে কেটে মারা গেছে।”
মারধরের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনান্থল পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে লাশ সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। মারধরের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।