ফেনীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

ফেনীতে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। এছাড়া আরও চারজনের ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে একই আদালত।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 09:56 AM
Updated : 25 June 2019, 09:56 AM

ফেনীর নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিকে পাঁচ লাখ আর অন্য চার আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আবু বক্কর সিদ্দিক সাগর (২৫) জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরডুব্বা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।

১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত চারজন হলেন সুজাপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে বায়েজিদ ফয়সাল (২০), একই এলাকার নূর নবীর ছেলে মেজবাহ উদ্দিন পিয়াস (২২),  মো. হোসেন আহম্মদের ছেলে মো. রিয়াজ ওরফে রিয়াদ (২৩) ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরহাজার গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৩)।

মামলার প্রধান আসামি যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক। অন্য আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।

এছাড়া মামলার অন্য পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছে; যাদের মধ্যে প্রধান আসামির কয়েকজন স্বজনও রয়েছেন।

আদালতের পিপি হাফেজ আহমেদ জানান, ২০১৩ সালের ২৫ মে সোনাগাজীর সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলপথে অপহৃত হয়। এ ঘটনায় তার বাবা ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। পরে তাকে বান্দরবান থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলাটি ধর্ষণ মামলায় রূপান্তরিত হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ততকালীন সোনাগাজী থানার এসআই স্বপন চন্দ্র বড়ুয়া ওই বছরের ১২ জুলাই ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

পিপি আহমেদ বলেন, মামালায় ১৩ সাক্ষীর মধ্যে সাতজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সাগরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে আদালত অন্য চার আসামিকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানার টাকা আদায় করে ওই ছাত্রীকে দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশ দিয়েছে আদালত।

“মামলার প্রধান আসামি পলাতক থাকলেও অন্য আসামিরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারের পর জামিনে ছিলেন। গত ৬ মে আট আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।”