এ অবস্থায় তারা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম সুরুজ মিয়া বলেন, গত রোববার ও সোমবার রাতে সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের কড়ইতলী, বানাইপাড়া, ধোপাজুরী, রঙ্গমপাড়া ও মহিষলেটি গ্রামের ৩০-৩৫টি বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় কয়েকটি বন্যহাতি।
“আজ (মঙ্গলবার) আমি ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি হাতির আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পটকা, কেরোসিন তেল এবং টর্চ লাইট দেওয়া হয়েছে।”
কড়ইতলী গ্রামের মহর উদ্দিন ও সফর উদ্দিন দুই সহোদর।
মহর উদ্দিন বলেন, “আমরা দুই ভাই দিন আনি দিন খাই। আমাদের তিনটি ঘর ছিল। গতরাতে কয়েকটি হাতি ভারত থেকে এসে সব ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন বাল-বাচ্ছা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে বসবাস করছি। আমাদের সহযোগিতা না করা হলে প্রাণে মারা যাব।”
তাদের একটি ছনের ঘর পুরটাই হাতি ভেঙ্গে ফেলেছে। এখন গ্রামের অন্যদের মতো তারা হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বলে জানান।
হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, সাধারণ মানুষকে হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য সচেতন করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।