রোববার দুপুরে রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজ সড়কে একটি ভবনের ভিত্তি নির্মাণের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদয়ন চাকমা জানান।
নিহতরা হলেন- সেন্টু মিয়া (৪১), আঙ্গুর আলী (৬৫) ও মো. পাপ্পু (৩৫)।
আহত সাইফুল ইসলামকে (৪০) জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান উদয়ন।
উদয়ন চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিকরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে মাটি কাটার কাজ করছিলেন কোনো প্রকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না রেখেই।
“মাটি কাটতে কাটতে যখন বড় গর্ত তৈরি হয়, তখনই উপর থেকে মাটি ধসে পড়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।”
ভবনটির মালিক পারভীন আক্তার রাঙামাটি পৌর এলাকাধীন কাটাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তিনি জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম উদ্দিন এবং মহিলা আওয়ামী লীগের পৌর কমিটির সভাপতি জ্যোৎস্না আক্তারের ছোটবোন। একই সড়কে এদের সব ভাইবোনের বাসভবন রয়েছে।
বছর দুয়েক আগে একই এলাকায় একটি ভবনধসের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন।
পারভীনের এই ঘরটি কাপ্তাই হ্রদের জায়গায় নির্মিত হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেছেন।
দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ‘হ্রদ দখল করে’ ভবন নির্মাণে বিস্ময় প্রকাশ করে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মামুনুর রশীদ।
এদিকে এই দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে ও আহতকে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রাঙামাটি কোতয়ালি থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে পারভীন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।