গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে

‘হাসপাতালে একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ’ হওয়া গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2019, 02:37 PM
Updated : 22 May 2019, 02:37 PM

এক নার্সের ভুল ইনজেকশন দেওয়ার কারণে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নীর (২০) অবস্থার অবনতি হয় বলে অভিযোগ তার স্বজনদের। 

এর আগে তাকে খুলনার শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রায় ৩০ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বুধবার বিকাল ৪টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় মুন্নীর চাচা গোপালগঞ্জ সদর থানায় এক চিকিৎসক ও দুই নার্সের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন।  

মুন্নীর বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, তার মেয়ে পিত্ত থলিতে পাথরজনিত সমস্যা নিয়ে সোমবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার তার শরীরে অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল।

“হাসপতালের নার্স শাহনাজ পারভিন গ্যাসের ইনজেকশনের বদলে আমার মেয়ের শরীরে অজ্ঞান করার ইনজেকশন পুশ করেন। সাথে সাথে সে জ্ঞান হারায়।” 

তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালের চিকিৎসকরা বোর্ড বসিয়ে তাকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে তাকে সেখানে নিয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

“জ্ঞান হারানোর ৩৩ ঘণ্টা পার হলেও মুন্নীর জ্ঞান ফেরেনি। তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় শহিদ আবু নাসের হাসপতালের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন।”

বুধবার বিকাল ৪টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকা নেওয়া হয়েছে বলে মেয়েটির বাবা জানান।

এদিকে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ওই শিক্ষার্থীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালের দুই নার্স ও এক জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুকুল হোসেন সারদার বলেন, বুধবার বিকাল ৫টায় ওই ছাত্রীর চাচার অভিযোগটি মামলা হিসেবে ৩০৭/৩৪ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে।