গোপালগঞ্জে ভুল ইনজেকশনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর জীবন ‘বিপন্ন’

গোপালগঞ্জ সদর হাসপতালে ভুল ইনজেকশন পুশ করায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর জীবন বিপন্ন বলে পরিবার জানিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করেছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2019, 11:59 AM
Updated : 21 May 2019, 11:59 AM

মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনার পরপরই মরিয়ম সুলতানা মুন্নি নামের এই শিক্ষার্থীকে খুলনায় শহিদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপতালে পাঠানো হয়।

মুন্নি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেনর মেয়ে তিনি।

মোশারফ হোসেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাতে বলেন, মুন্নির পিত্তথলিতে পাথর ধরা পড়েছে। সকালে অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেন চিকিৎসক।

“সেখানে একজন নার্স তাকে ভুল ইনজেকশন পুশ করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপতালের চিকিৎসকরা তার শ্বাসনালিতে পাইপ দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করে তাকে বাঁচিয়ে রাখেন। পরে তারা জরুরি ভিত্তিতে বোর্ড বসিয়ে তাকে খুলনা শহিদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।”

নাসের হাসপতালে চিকিৎসকদের বরাতে মোশারফ বলেন, “মুন্নির ব্রেনের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তার অবস্থা এখনও খুবই ঝুকিপূর্ণ। নাসের হাসপতালের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা নিতে বলেছেন। এ ঘটনায় এখন আমরা দিশেহারা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।”

তবে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী আশা করছেন মুন্নি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, “ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি আশা করছি মুন্নি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।”

এ ঘটনায় গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

“প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। ওই নার্স দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”