রোববার দুপুরে এ ঝড়ে কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার, শমশেরনগর, পতনউষার ইউনিয়নের প্রায় অর্ধসহস্রাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শত শত গাছ উপড়ে গেছে। শমশেরনগর-কুলাউড়া রেল লাইনে ও সড়ক পথে গাছ পড়ায় দুইঘণ্টা যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
ঝড়ের সময় বজ্রপাতে কেওলার হাওরে পতনঊষার গ্রামে একটি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।
গাছ উপড়ে দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে বলে তিনি জানান।
এলাকাবাসী, শমশেরনগর বিমান ইউনিটের সদস্যরা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাছ সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ সচল করা হচ্ছে।
সবকটি স্থান পরীক্ষা করে পুরো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নারায়ণ মল্লিক সাগর বলেন, ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও তিন শতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। পুরো তথ্য সংগ্রহ করতে আরও কিছু সময় লাগবে।
ধূপাটিলা ও পতনঊষার গ্রামের ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলে তিনি জানান।
মুন্সীবাজার ইউপি সদস্য সফিক মিয়া বলেন, ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে, তবে পুরোপুরি তথ্যাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিকে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও আশিদ্রোন ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে গাছপালা।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি তথ্য পেতে কিছু সময় লাগবে।