মৌলভীবাজারে কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড কয়েক গ্রাম

কালবৈশাখী ঝড়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিকুল চক্রবর্তী মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2019, 03:28 PM
Updated : 29 April 2019, 09:01 AM

রোববার দুপুরে এ ঝড়ে কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার, শমশেরনগর, পতনউষার ইউনিয়নের প্রায় অর্ধসহস্রাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শত শত গাছ উপড়ে গেছে। শমশেরনগর-কুলাউড়া রেল লাইনে ও সড়ক পথে গাছ পড়ায় দুইঘণ্টা যোগাযোগ বন্ধ থাকে।

বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

কমলগঞ্জ উপজেলার শিক্ষক মুজিবুর রহমান রঞ্জু বলেন, দুপুরে প্রবল ঝড়ে মুন্সিবাজার, রহিমপুর, শমশেরনগর ও পতনউষার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায় আড়াই শতাধিক ঘর। শত শত গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে।

ঝড়ের সময় বজ্রপাতে কেওলার হাওরে পতনঊষার গ্রামে একটি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।

গাছ উপড়ে দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে বলে তিনি জানান।

এলাকাবাসী, শমশেরনগর বিমান ইউনিটের সদস্যরা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাছ সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ সচল করা হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মোবারক হোসেন সরকার বলেন, কালবৈশাখি ঝড়ের পরপরই একশ স্থানের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। গাছগাছালি ভেঙে, তার ছিঁড়ে ও লাইন মাটিতে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর আসছে। কুলাউড়া-ফেঞ্চুগঞ্জ লাইনেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সবকটি স্থান পরীক্ষা করে পুরো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নারায়ণ মল্লিক সাগর বলেন, ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও তিন শতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। পুরো তথ্য সংগ্রহ করতে আরও কিছু সময় লাগবে।

ধূপাটিলা ও পতনঊষার গ্রামের ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলে তিনি জানান।

মুন্সীবাজার ইউপি সদস্য সফিক মিয়া বলেন, ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে, তবে পুরোপুরি তথ্যাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে।

শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে লাইন সচল রয়েছে। রেলপথের যেখানে গাছ পড়েছে সেসব গাছ কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে। তবে কোথাও ট্রেন আটকা পড়লে লোকজন গাছ সরিয়ে রেলপথ ক্লিয়ার করে দিচ্ছে।

এদিকে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও আশিদ্রোন ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে গাছপালা।

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি তথ্য পেতে কিছু সময় লাগবে।