পশুবাহী গাড়ি নিয়ে বিশৃঙ্খলা নয়: আইজিপি

কোরবানির পশুবাহী ট্রাকে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী।

গাজীপুর প্রতিনিধিসাভার ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2018, 04:16 PM
Updated : 5 Sept 2018, 12:13 PM

শুক্রবার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে যানজট পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবারের ঈদে পশুবাহী ট্রাকগুলো যাতে বাধা ছাড়াই নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারে সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

“কোরবানির পশুবাহী গাড়ি নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে এবার ছাড় দেওয়া হবে না।”

তিনি বলেন, প্রতিবছর পশুবাহী গাড়িগুলো হাটে যাওয়ার সময় রাস্তায় জোর করে তাদের অন্য হাটে নেওয়া হয়। কিন্তু এবছর পুলিশের তৎপরতায় সড়কের কোথাও পশুবাহী ট্রাক আটকানো হচ্ছে না। বেপারিরা প্রয়োজনে নির্দিষ্ট হাটের ব্যানার গাড়িতে লাগিয়ে নিতে পারবেন।

এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান, ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক সানা শামীনুর রহমান শামীম, ঢাকার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সাইদুর রহমানসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় আইজিপিকে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম উদ্বোধন

আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বিকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে পুলিশ কন্ট্রোল রুম উদ্বোধন করেছেন।

এ সময় তিনি বলেন, কোনোক্রমেই কোরবানির পশুবাহী ট্রাক যাতে আটকানো না হয় তার জন্য পুলিশকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মহাসড়ক ব্যবহারকারী সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। 

পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, গরু কোন হাটে যাবে তার নাম লিখে প্রতিটি পশুবাহী ট্রাকের সামনে ব্যানার টাঙ্গিয়ে আসতে হবে। প্রায়ই পশুবাহী ট্রাকগুলো যেখানে যেতে চায়, তারা সেখানে যেতে পারে না। অনেকে জোর করে পার্শ্ববর্তী হাটে নিয়ে যেতে চায়। যদি ট্রাকের সামনে লেখা থাকে এই ট্রাকটি কমলাপুর হাটে যাবে তাহলে সবাই জানবে, রাস্তার ট্রাফিক পুলিশ জানবে এবং লোকজন জানবে এই ট্রাকটি কোথায় যাবে।

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উৎসব আমাদের বাঙালিদের বড় উৎসব।

“ওই দুই উৎসবে আমাদের হিসাব মতে ঢাকা শহরের চার ভাগের তিন ভাগ লোক গ্রামের বাড়ি গিয়ে মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করে। আমরা ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যাত্রাপথ যাতে সুন্দর হয় তার ব্যবস্থা করেছি। ইতোমধ্যে সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা  রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আল মামুন, হাইওয়ের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি আব্দুল মালেক, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার, গাজীপুরে হাইওয়ে পুলিশের এসপি সফিকুল ইসলাম ও কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ আলম প্রমুখ।