বৃহস্পতিবার হানিফ পরিবহনের চালক জামাল হোসেন (৩৫) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন বলে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
মুন্সীগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কুশপতি বিশ্বাস ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, চালক স্বীকার করেছেন যে, বাসের অটো দরজার সাথে ধাক্কা লেগে পায়েল পড়ে যায়। এতে তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে মারা গেছে ভেবে তাকে পাশের ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।
এর আগে বুধবার বিকালে হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার মো. জনি (৩৮) আদালতে ১৬৪ ধারায় অনুরূপ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তবে মামলার আরেক আসামি চালকের সহকারী ফয়সাল হোসেন (৩০) এখন ঘটনা স্বীকার করেননি।
ব্রিফিংয়ে গজারিয়া থানার ওসি হারুন-অর-রশীদ জানান, পায়েল যে রাস্তায় পড়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে তার মুখে পিচঢালা রাস্তার পিচসহ ছোট পাথর লেগেছিল তা দেখে বোঝা যায়। একই বিবরণ ম্যাজিস্ট্রের কাছেও দিয়েছেন চালক মো. জামাল হোসেন।
“আগেরদিন প্রায় একই রকম জাবানবন্দি দেন সুপারভাইজার মো. জনি।”
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র পায়েল চট্টগ্রামের হালিশহরের গোলাম মাওলার ছেলে। শনিবার রাতে হানিফ পরিবহনের (নং ৯৬৮৭) বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছিলেন। ভোররাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচে খালে তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় তার মামা গোলাম সোরয়ার্দী বিপ্লব তিন জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরে পুলিশ বাসের সুপারভাইজার জনিকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মতিঝিল এলাকা এবং বুধবার ঢাকার আরামবাগ থেকে চালক জামাল হোসেন এবং হেলপার মো. ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে।