উল্টো নির্বাচন কর্মকর্তা তাকে ঢাকায় গিয়ে সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন।
জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরিশাট গ্রামের মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে তিনি দেখেন ভোটার তালিকায় তার নাম নেই।
“পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সেই তালিকা সংশোধন হয়নি।”
উল্টো নির্বাচন কর্মকর্তা এটা ঢাকায় গিয়ে সংশোধনের পরামর্শ দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মাসুদুর রহমান।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ শেখ বলেন, জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
“এখানে আমার তো আর কিছু করার নেই। বিলম্ব হওয়ায় তাকে ফরওয়ার্ডিং লেটার নিয়ে ঢাকায় প্রধান নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছি।”
কিভাবে এমন ভুল হয় সে বিষয়ে মাসুদুর রহমান বলেন, বরিশাট কাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অলোক কুমার বিশ্বাস ২০১৫ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ করেন। কিন্তু তিনি কাজটি সরেজমিনে যাচাই না করে স্কুলে বসেই শেষ করেন।
অলোক স্বীকার করেন, “একটা মিসটেক হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লাভলুর রহমানের দেওয়া তথ্য যাচাই না করায় এই ভুলটি হয়েছে।”
এ বিষয়ে লাভলুর রহমান বলেন, “মাসুদুর রহমান যে আজো বেঁচে আছেন তা আমি ভালোভাবেই জানি। এখন একটা ভুল হয়ে গেছে। সেটার সমাধান হওয়া প্রয়োজন।”