ঈদকে সামনে রেখে শনিবার ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে সরকার। গত ১৯ মে রাত থেকে এ কয়দিনে অভিযানের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর সমালোচনা করছে।
জাতীয় সংসদেও ‘মাদক সম্রাট’ আছে উল্লেখ করে বিচারের দাবি উঠেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, সারাদেশে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে; তাই মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে র্যাব ও পুলিশ।
এই অভিযানে রাজনৈতিক একটি মহল খুশি না হতেও পারে, কিন্তু দেশের মানুষ অনেক খুশি। অভিযুক্ত ধৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিবের মায়াকান্না চলছে; কোনো লাভ হবে না, বলেন মন্ত্রী।
মাদক বিরোধী এই অভিযানে নিজ দলের সাংসদ বদির ব্যাপারে তিনি বলেন, “বদির বেয়াই ছাড় পায়নি, মাদক ব্যবসার সাথে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ যেই অভিযুক্ত হউক না কেন কেউ ছাড় পাবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বদিও ছাড় পাবে না।”
এদেশের তরুণ সমাজ মাদকের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা স্রোতের মতো এ দেশে আসছে। তাদের সাথে সুনামির মতো মাদক ঢুকে পড়েছে পাড়া মহল্লায়। এই অবস্থায় জনগণ এরকম একটি অভিযান চেয়েছে।
“মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা প্রস্তুত হয়েছে। তা তদন্ত করে র্যাব এবং পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
বন্দুকযুদ্ধ সম্পর্কে কাদের বলেন, “মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে অস্ত্র থাকে; তাই পুলিশ ও র্যাব যখন তাদেরকে নিয়ে মাদক উদ্ধারে যায় তখন মাদক ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে গুলি করবে। তখন র্যাব আর পুলিশ কি জুঁই ফুলের গান গাইবে?”
বিগত সময়ের তুলনায় এ বছর সড়ক ব্যবস্থা ভালো। আব্দুল্লাহপুর থেকে ডিইপিজেড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ এ বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হবে বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কে অবৈধভাবে মাহিন্দ্র চলাচলে কেউ যদি চাঁদা তোলে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিন্দ্র কিশোর, জনপদ বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, নির্বাহী প্রকৌশলী মহিব্বুল হক, প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।