শীতে পানচাষ ব্যাহত পাঁচবিবিতে

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় কুয়াশা আর শীতে পানের গোড়াপচা রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা।

মোমেন মুনি জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2018, 05:13 PM
Updated : 26 Jan 2018, 05:27 PM

বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেকেই বরজ ভেঙে ফেলছেন।

উপজেলা ধরঞ্জী গ্রামের পানচাষী আতাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাতায় কালো দাগ হয়ে ঝরে পড়ছে। আবার বাজারে নিলেও কালো দাগ ও পচন থাকায় বিক্রি হচ্ছে না। তাই চাষীরা এখন দিশেহারা।

একই কথা বলেন সালুয়া গ্রামের সুশীল চন্দ্র, নিতাই চন্দ্র, আবদুস সামাদসহ অনেকে। পুনিল চন্দ্র, মিঠু ও মন্টু চন্দ্রসহ অনেককেই বরজ ভেঙে ফেলতে দেখা গেছে।

সালুয়া গ্রামের মকুল মণ্ডল বলেন, “কীটনাশক দিয়েও পচন ঠেকানো যাচ্ছে না, ভাই। অবস্থা খুব খারাপ। এলাকার সব বরজে মহামারি দেখা দিয়েছে। বিশাল ক্ষতি হচ্ছে পানচাষীদের।”

“এ কারণে অনেকেই পান চাষ ছেড়ে অন্য ফসল চাষাবাদ করছে। বরজ ভেঙে ফেলছে।”

প্রতিবিঘা বরজ প্রস্তুত করতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান এই গ্রামের পানচাষী রবীন্দ্রচন্দ্রসহ অনেকে।

প্রবীণ পানচাষী কৃষ্ণপদ হগরু বলেন, “প্রায় ৩০ বছর ধরে পান চাষ করছি। এমন ক্ষতির মুখে এর আগে আর পড়িনি। এ বছর পরপর দুই দফা বন্যা আর ঘন কুয়াশা, সেই সঙ্গে পচণ্ড শীতে বরজের অবস্থা খারাপ। তাই ৫০ শতক জমির বরজ ভেঙে ফেলছি।”

কৃষি বিভাগ চাষীদের পরামর্শ দিলেও তা কোনো কাজে আসছে না বলে তারা জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুবার রহমান বলেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাস ও শীতের কারণে পানের বরজের এ অবস্থা।

“প্রতিকার হিসেবে বরজের বেড়াগুলো ভালভাবে বেঁধে দিতে বলা হচ্ছে, যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে। পাশাপাশি ডাইকেল-৫০ নামের ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করতে বলা হচ্ছে।”

এ উপজেলায় এ বছর ২৯ হেক্টর জমিতে পানচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল বলে তিনি জানান।