শুক্রবার গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম শরীফকে শেরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে বলে শ্রীবরদী থানার ওসি এস আলম জানান।
ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, তার স্ত্রীর স্তনে টিউমার হয়েছে জানিয়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসক শরীফ।
শরীফের বাড়ি একই উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামে।
ওসি মামলার বরাত দিয়ে বলেন, গত বছর নভেম্বর শ্রীবরদী পৌর শহরের শান ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করার সময় চিকিৎসক শরীফ ওই নারীর স্তনে টিউমার হয়েছে বলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহের সেহরা এলাকার কুণ্ডু প্যাথলজিতে পাঠান।
“সেখান থেকে টিউমার ও ক্যানসার হয়েছে জানালে তাকে ঢাকার শাহবাগের মডিউল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ১৫ নভেম্বর তার বাম স্তন অপসারণ করেন চিকিৎসক শরীফ।”
পরে ধানমন্ডির আনোয়ারা মেডিকেল সার্ভিসেস ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বায়োপসি করানো হলে উভয় প্রতিবেদনেই স্তনে কোনো ক্যান্সার নেই বলে জানতে পেরে শ্রীবরদী আমলি আদালত-২-এ দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন ওই নারীর স্বামী।
ওসি বলেন, আদালতের আদেশ পেয়ে ৩ জানুয়ারি শ্রীবরদী থানায় মামলা রেকর্ড করে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। পরে দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চিকিৎসক শরীফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
“শুক্রবার বিকালেই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রোববার শুনানি হবে।”
অন্য আসামি ময়মনসিংহের সেহরা এলাকার কুণ্ডু প্যাথলজির কে কে কুণ্ডুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানান।