শ্রীবরদীতে বাঘের সন্ধান মেলেনি, আতঙ্কে মানুষ

শেরপুরের শ্রীবরদী পৌর মেয়র চিতাবাঘের আক্রমণে পড়ার কয়েকদিনের মাথায় একটি গ্রামে চিতাবাঘ আসার খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2016, 11:44 AM
Updated : 19 Feb 2016, 01:18 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালুরচর গ্রামের একটি ভূট্টা ক্ষেতে চিতাবাঘ দেখা গেছে বলে স্থানীয় কয়েকজন জানান।

পরে বনবিভাগের লোকজন গিয়ে পায়ের ছাপ পেলেও চিতাবাঘের দেখা পায়নি।

ফাইল ছবি

গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে শ্রীবরদী পৌরসভার জালকাটা এলাকায় চিতাবাঘের আক্রমণে শ্রীবরদী পৌর মেয়র  আবু সাঈদ (৩০) গুরুতর আহত হন।

তার মুখের ডান পাশ, কান ও মাথায় থাবা দিয়ে মাংস ছিঁড়ে নেয় বাঘটি। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এলাকার লোকজন পরে চিতাবাঘটিকে মেরে ফেলে।

শেরপুর বনবিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালুরচর গ্রামের কয়েকজন লোক একটি ভূট্টা ক্ষেতে একটি চিতাবাঘকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন বলে জানান।

খবরটি দ্রুত বন বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, থানা ও জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয় বলে জানান তিনি।

“ওই সময় বনবিভাগের লোকজনও ওই ভুট্টা ক্ষেতে বাঘ আসার কিছু চিহ্ন দেখতে পান।” 

তারিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ সাঈদ হোসেনের নেতৃত্ব চার সদস্যবিশিষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ট্রাঙ্কুলাইজার গান নিয়ে বালুরচর গ্রামে আসে।

“তারা বনবিভাগ ও এলাকার কয়েকশ লোক নিয়ে দুপুর ১২টা থেকে ওই ভূট্টা ক্ষেতে চিরুনি অভিযান চালালেও বাঘের সন্ধান মেলেনি।” 

“কিন্তু বাঘ যে এসেছিল তা মাটিতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে।”

অনেক মানুষের উপস্থিতি দেখে বৃহস্পতিবার রাতে কোনো এক সময় বাঘটি চলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, বলেন তারিকুল।

তিনি জানান, মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বাঘ দেখা গেলে দ্রুত প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

ওই গ্রামে চিতাবাঘটির কোনো খোঁজ না মিললেও পাশের এলাকাগুলোয় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।