বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালুরচর গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেতে চিতাবাঘটি প্রবেশের খবরের পর স্থানীয়দের পাশাপাশি পুলিশও ক্ষেতটি ঘিরে রেখেছে বলে জানান জেলা প্রশাসক পারভেজ রহিম।
এলাকাবাসী ধারণা করছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র আবু সাঈদকে যে বাঘটি আক্রমণ করেছিল তার সঙ্গী এই বাঘটি।
জেলা প্রশাসক রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রামবাসী বাঘটি দেখার পর তাদের সতর্ক করা হয়েছে, কোনো অবস্থায়ই যেন বাঘটি মেরে ফেলা না হয়।
“এছাড়া বাঘটি জীবিত ধরার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, শ্রীবরদী উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তিনি জানান, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে একটি দল বাঘটিকে অচেতন করে ধরার জন্য শেরপুরে রওনা হয়েছে।
যে বাঘটি মেয়রের মুখের ডান পাশে, কানে ও মাথায় থাবা দিয়ে মাংস ছিঁড়ে নেয় সেটি হত্যা করে এলাকাবাসী। পুলিশ মৃত বাঘটি উদ্ধার করে বন বিভাগের হেফাজতে দেয়।
পরদিন জালকাটা এলাকায় তিন খালের মোড়ে ব্রিজের নিচে একটি বাঘ দেখা যায় বলে খবর ছড়ালেও পরে আর দেখা যায়নি।
আহত মেয়র বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।