নরসিংদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় হামলা, আহত ১১

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম বলেন, হামলার বিষয়ে ইজারাদারকে তলব করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ নেবে।”

নরসিংদীর মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের হামলায় আহতদের একজন।

নরসিংদীর মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের হামলায় কমপক্ষে ১১ এলাকাবাসী আহত হয়েছেন।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম জানান।

আহতরা হলেন- মাঝেরচর গ্রামের তঞ্জা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর খন্দকার (৩৫), আব্দুর জব্বার মিয়ার ছেলে ফায়েজ মিয়া (৪২), শাহ আলম মিয়ার ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (২৮), সোলমান মিয়ার ছেলে জাহিদুল (১৮), সুন্দর আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২২), রাজ মিয়ার ছেলে বশিরুল (২৮), নাগর মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (১৮), শাহিন মাঝি (২৫), ইসমাইল মাঝি (৩৮), জোবায়েদ মিয়া (২০) ও হেদায়েতুল্লাহ (২১)।

চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমেন সরকার বলেন, “শুনেছি জেলা প্রশাসন ইজারা দিয়েছে পাড়াতলির কাৎলারচর মৌজার বালুমহাল। কিন্তু অবৈধভাবে চাঁনপুরের মাঝেরচর, সাহারখোলা এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল।

“অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গিয়ে এলাকাবাসী একটি ড্রেজার আটক করেন। এ সময় এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে ৮-১০ জনকে আহত করে ড্রেজারটি ছিনিয়ে নেয় বালু উত্তোলনকারীরা।”

আহতদের মধ্যে কয়েকজন অভিযোগ করেন, টেঁটা, বল্লম, দা নিয়ে হামলায় নেতৃত্ব দেন আবুল মেম্বার ও তার ছেলে শাহরিয়ার হাসান। এ সময় স্থানীয়দের তিনটি নৌকা ভাঙচুর করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল মেম্বার বলেন, “নদীতে বালু কাটে রাসেল চেয়ারম্যান (শ্রীনগর ইউপি), ফারুক চেয়ারম্যান (রায়পুরা ইউপি), মিন্টু মিয়া ও মনির মিয়া। দোষারোপ করা হয় আমাকে, আমাকে কেন জ্বালাচ্ছেন?”

রায়পুরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে আমি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহিদ চৌধূরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বালু উত্তোলনকারীদের ড্রেজার কাৎলারচরে পাওয়া গেছে। হামলার বিষয়ে ইজারাদারকে তলব করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ নেবে।”   

এলাকাবাসীর ওপর হামলা ও অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সাংবাদিকদের বলেন, “অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে আমার সবরকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। স্থানীয়দেরকে সব ঘটনা প্রশাসনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।”