সিলেট সিটি নির্বাচন ঘিরে বিএনপির সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে: আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

“আমার বিরুদ্ধে আপনারা নিউজ করবেন, সাংবাদিকরা নিউজ না করলে জনপ্রতিনিধিরা উদাসীন হয়ে যান।”

সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

তিনি বলেন, “বিএনপি নির্বাচনে না এসে এবং মানুষকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলে অধিকার হরণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেভাবে ভোট দিতে গিয়েছিল, তাতে বিএনপির সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে।”

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় নবনির্বাচিত মেয়র জানান, ভোটের আগে যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন সে অনুযায়েই কাজ করবেন তিনি।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন,‌‌“ইশতেহারে উল্লেখিত জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট মুক্ত করার বিষয়গুলোয় গুরুত্ব দেব। দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে যেতে চাই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে উন্নয়নের জন্য জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করব।”

সিলেট সিটি করপোরেশনকে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার এসবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে। এছাড়া প্রবাসীদের সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব। যারা প্রবাসীদের জায়গা জমি দখল করে রেখেছেন, তাদের একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আপনারা নিউজ করবেন। যেটা আমার জন্য ইতিবাচক হবে। সাংবাদিকরা নিউজ না করলে জনপ্রতিনিধিরা উদাসীন হয়ে যান। আমি যেন আগামী ৫ বছর উদাসীন না হয়ে যাই এ জন্য বস্তুনিষ্ঠ নিউজ করবেন, এতে আমি খুশি থাকব।”

এর আগে সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এ সময় সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, দলের জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, নগর সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলার সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে নবনির্বাচিত মেয়র নগরীর বন্দরবাজার এলাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে নিজের নির্বাচনী ব্যানার ও পোস্টার অপসারণ করেন। এ সময়ও দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।