কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে জামালপুরের কাউন্সিলরের হাত-পা বাঁধা লাশ

প্রথমে পরিচয় অজ্ঞাত থাকলেও পরে আঙ্গুলের ছাপ শনাক্তে সন্ধ্যায় তার পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2024, 07:07 PM
Updated : 20 March 2024, 07:07 PM

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে জামালপুরের মেলান্দহ পৌরসভার এক কাউন্সিলরের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গাংরা এলাকা থেকে মো. আবদুল মমিন (৪৮) নামের ওই কাউন্সিলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন বলে জানান চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা।

হাত-পা বাঁধা ছাড়াও নিহত কাউন্সিলরের মুখ স্কচটেপ দিয়ে পেঁচানো ছিল।

ওসি বলেন, প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিচয় অজ্ঞাত থাকলেও পরে আঙ্গুলের ছাপ শনাক্তে সন্ধ্যায় তার পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

তিনি বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে অজ্ঞাতনামা হিসেবে পুলিশ মরদেহটি থানায় নিয়ে আসে। পরে সিআইডির ফিঙ্গার প্রিন্ট শনাক্তের মেশিনে নিহত ব্যক্তির পরিচয় কাউন্সিলর মমিন বলে জানা যায়।

“ওই পরিচয়ের ব্যক্তির স্বজনদের ছবি পাঠিয়ে ও মেলান্দহ পৌর মেয়রকে ছবি দেখানোর পর তারা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছেন তিনি আবদুল মমিন। তারা জামালপুর থেকে এসে মরদেহ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করলেই পরবর্তী আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।“

কাউন্সিলর মমিন মেলান্দহ পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের ইয়াদ আলী আকন্দের ছেলে।

ওসি ত্রিনাথ বলেন, ওই কাউন্সিলর ভারতীয় হলুদ, জিরা ও এলাচসহ বিভিন্ন মসলার ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গত ১৫ মার্চ তিনি বাড়ি থেকে কক্সবাজারের চকরিয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহ মহাসড়কের পাশে ফেলে যায়।

নিহত কাউন্সিলর মমিনের ছেলে ফজলে রাব্বি মোবাইল ফোনে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার বাবা আমাকে কল করে বলে- চকরিয়ার ছিরিঙ্গা বাজার থেকে একটি ট্রাকে মেলান্দহের উদ্দেশ্যে হলুদ নিয়ে রওয়ানা দিচ্ছি। এরপর থেকে বাবার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

“বুধবার চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ আমাকে ফোন করে জানায়, আমার বাবার মরদেহ মহাসড়কের পাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমার চাচা ও জেঠাসহ কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।“