জ্বর-ডায়রিয়ার প্রকোপ: টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে উদ্বেগ

দুই দিন আগে কেন্দ্রের এক কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2024, 04:31 PM
Updated : 16 Feb 2024, 04:31 PM

গাজীপুরের টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) হঠাৎ ভাইরাস জ্বর ও ডায়েরিয়ায় প্রকোপ নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।

একটি কিশোরের মৃত্যুর পর আরও অন্তত ৩৫ শিশু কিশোরের আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছেন কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন।

অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনা হয়েছে। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি, কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সংশোধনাগারেই।

যে কিশোরটি মারা গেছে, তার দেহে মেনিনজাইটিস নামে ভাইরাসের আক্রমণের তথ্য দিয়েছেন চিকিৎসক।

হঠাৎ করে রোগের প্রকোপের বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শনও করেন।

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৬২২ জন শিশু ও কিশোরকে রাখা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২২ শিশুকে চিকিৎসা দিয়ে কেন্দ্রে ফেরানো হয়েছে; এখনো কয়েকজন টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিক হাসান বলেন, “অসুস্থদের বেশিরভাগ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত। হাসপাতালে কয়েকজনকে চিকিৎসার পাশাপাশি কেন্দ্রে গিয়েও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে।”

জ্বর ও ডায়রিয়ার প্রকোপের মধ্যে গত বুধবার এ কেন্দ্রে থাকা কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার ১৬ বছর বয়সী মারুফ আহমেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

তার বাবা রফিক আহমদের দাবি, ‘মৃত্যুর কারণ নির্যাতন।’

তবে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক দেলোয়ার বলেন, “মারুফ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

গাজীপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল করিম বলেন, “সম্প্রতি ওই কেন্দ্রের কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফ মারা যায়।

“সেখানকার চিকিৎসক জানিয়েছেন, মারুফ মেনিনজাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে; যা ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা কোনো পরজীবীর সংক্রমণের কারণে হতে পারে।”