মুফতী ফয়জুলের উপর ‘হামলাকারী’ দুজন কারাগারে

এদের দুজনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না হওয়ায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।

ভোটের দিন মুফতী ফয়জুল করীমের ওপর হামলা চালানো হয়।

ভোটের দিন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বরিশালের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. আশরাফউদ্দীন ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম রিজবি (৪৫) নগরীর নবগ্রাম রোডের কেরানি বাড়ির বাসিন্দা।

এর আগে একই ঘটনায় মঙ্গলবার মাইনুল ইসলাম স্বপন (৪৫) নামে গ্রেপ্তার আরেকজনকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা।

আদালতের নন-জিআরও এএসআই সুব্রত জানিয়েছেন, এদের দুজনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তাই ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এদের মধ্যে মঙ্গলবার স্বপনকে ও বুধবার রিজবিকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। আদালত দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত সোমবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীম ও তার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হয়। এতে মুফতী ফয়জুলসহ কয়েকজন রক্তাক্ত হন।

কোতোয়ালি মডেল থানা থেকে আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোট চলাকালে দুপুর ১টায় হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীম ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তখন তার সমর্থকরা নারী ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে নিষেধ করে। এসময় কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতিবাদ করে।

কিছু সময় পর হাতপাখার মেয়র প্রার্থী বের হলে তাদের সমর্থকদের সঙ্গে অন্যান্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার দুজনসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন হাতপাখা প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা করে। তারা হাতপাখা কর্মীদের মারধর করে। খবর পেয়ে প্রতিবেদন দেওয়া এসআই রিয়াজুল ইসলাম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।