রাঙামাটি আওয়ামী লীগের কমিটি, দীপংকর-মুছার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গত ২১ মার্চ অনুমোদন করে কেন্দ্র; যাতে আগের কমিটির ১৬ জন বাদ পড়েন।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2023, 07:00 PM
Updated : 27 March 2023, 07:00 PM

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠনে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন পদ হারানো বিগত কমিটির কয়েকজন নেতা।

সোমবার শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়।

জেলা সম্মেলনের ১০ মাস পর গত ২১ মার্চ রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, যাতে ১০ বছর আগের কমিটির ১৬ জন নেতা বাদ পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে বিগত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জমিরউদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, জাকির হোসেন সেলিম, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অমর কুমার দে, আজম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ বড়ুয়াও এদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল মতিন অভিযোগ করেন, সর্বশেষ জেলা কাউন্সিলে নিখিল কুমার চাকমার পক্ষে কাজ করায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নিজেদের ক্ষমতা সুসংহত রাখতে দীপংকর এবং মুছা ‘ব্যক্তিস্বার্থে’ ত্যাগী-পরীক্ষীত-প্রবীণ ১৬ জন নেতাকে ৭৫ সদস্যের নতুন কমিটিতে স্থান দেননি।

তিনি অভিযোগ করেন, কাউন্সিলে যে আশ্বাসের ভিত্তিতে নিখিল কুমার চাকমা নিজেকে সভাপতি পদ থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন, সেই মোতাবেক দুই পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা। কিন্তু এই কমিটি গঠন করার সময় নিখিল-কামালের সঙ্গে কোনো আলোচনাই করা হয়নি।

তিনি ঘোষিত কমিটি সংশোধন বা রদবদল করে ত্যাগীদের সম্পৃক্ত করার অনুরোধ জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দীপংকর তালুকদারের কোনো বিকল্প নাই, এটা ঠিক নয়। তার বিকল্প অবশ্যই আছে।”

বাদ পড়া সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জমির উদ্দিন বলেন, “সভাপতি-সেক্রেটারির সিন্ডিকেট রাজনীতির রোষানলে পড়েছি আমরা। আমি মনে করি আমাদের বাদ দেওয়া হয়নি,বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার।”

বাদ পড়া সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, “কাউন্সিলে তিনি (দীপংকর তালুকদার) ঘোষণা দিয়েছিলেন, অসুস্থ-মৃত ও অক্ষম ছাড়া কমিটিতে যারা আছেন, তাদের সবাইকে স্ব স্ব পদে বহাল রেখে কমিটি ঘোষণা করা হবে। আমরা তাই বিশ্বাস রেখেছিলাম তার উপর, তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন নাই।”

সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর বলেন, দলীয় কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় নয়, এমন নেতাদেরই বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, তারা দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করেছে।

“বিষয়টি আমরা কেন্দ্রকে জানাব এবং দলকে বিভক্ত করার অপচেষ্টার বিষয়টি সম্পর্কেও অবহিত করব।”

সংবাদ সম্মেলনে ‘দীপংকর-মুছা সিন্ডিকেট রাজনীতি’র যে অভিযোগ, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিজেদের নিষ্ক্রিয়তায় কমিটি থেকে বাদ পড়ে এসব বলছেন এরা।”