বন্যার কারণে ১৮ জুন সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
Published : 23 Jun 2024, 04:36 PM
ভারি বৃষ্টিপাত না থাকায় সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে; পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাচ্ছেন বন্যার্তরা। অন্যদিকে শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, “বৃষ্টিপাত না থাকায় সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে প্রশাসনের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।’’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, “বৃষ্টিপাত না হওয়াতে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে। সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার নীচে রয়েছে। পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতি হতে কয়েকদিন সময় লাগবে।”
সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে সামান্য বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, রোববার পর্যন্ত সিলেটে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন আট লাখ ৫২ হাজার ৩৫৭ জন। জেলার ৩১০ আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ১৯ হাজার ৭৩৮ জন।
শনিবার আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন ২২ হাজার ৬২৩ জন; শুক্রবার আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫ হাজার ২৭৫ জন ছিলেন।
এদিকে পর্যটক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন ও আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকা সাপেক্ষে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও রাতারগুলসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। বন্যার কারণে ১৮ জুন সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো শর্ত সাপেক্ষে রোববার দুপুর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক, ট্যুর অপারেটর ও নৌকার মাঝিসহ সবাইকে অবশ্যই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।”
উপজেলা প্রশাসন জানায়, রোববার উপজেলা পর্যটন কমিটি জাফলং পর্যটনকেন্দ্রগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে গত শুক্র ও শনিবার দুই দফা গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম পর্যটনকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।
তবে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সব বোট মালিক, নৌ চালক-মাঝিদেরকে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনাসহ সাঁতার জানে না এবং ১২ বছরের কম বয়সিদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বন্যার মধ্যে সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা