নেত্রকোণায় সাহিত্য উৎসবে বসন্তের উচ্ছ্বাস

এ বছর খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি ও গদ্যশিল্পী গোলাম ফারুক খান।

নেত্রকোণার মোক্তারপাড়ার বকুলতলায় বুধবার উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করছে শিশুরা।

নেত্রকোণায় প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে ২৭তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব।

শহরের মোক্তারপাড়ার বকুলতলায় বুধবার দিনব্যাপী এই উৎসবে বসন্তবরণের পাশাপাশি তবলা লহরা, বাঁশি, নৃত্য, গীত, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আলোচনা, বাউলগানের আয়োজন ছিল।

নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের আয়োজিত এই উৎসবে কবি ও গদ্যশিল্পী গোলাম ফারুক খানের হাতে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কারও তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান।

বুধবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। এ সময় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার।

সাইফুল্লাহ এমরান বলেন, উৎসবে ভারত, আমেরিকা ছাড়াও ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার লেখক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীরা যোগ দেন।

তিনি জানান, এই উৎসবে প্রতি বছর শিল্প সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একজন কবি, সাহিত্যিককে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় এ বছর এই পুরস্কার পেয়েছেন কবি ও গদ্যশিল্পী গোলাম ফারুক খান।

নেত্রকোণার কৃতি সন্তান দুই বাংলার প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রয়াত খালেকদাদ চৌধুরীর নামে এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ। ২৭ বছর ধরে লেখক হুমায়ূন আহমেদ, নাট্যকার সেলিম আল দীন, কবি নির্মলেন্দু গুণসহ ২৯ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

উৎসবে এসে নিউটাউন এলাকার দৃষ্টি তালুকদার বলেন, “সকল বয়সের মানুষ এখানে এসেছে আনন্দ করতে, বসন্তকে নিজেদের মতো উপভোগ করতে। ভাল লাগছে, খুবই ভাল লাগছে।”

তিনি আরও বলেন, “উৎসবে সকাল থেকেই অন্য রকম একটা আমেজ। সব কিছু রঙিন লাগছে। আমরা নিজেরাও মনে হচ্ছে রঙিন হয়ে গেছি।”

সাতপাই এলাকা থেকে উৎসবে আসা তাবাসসুম আক্তার বলেন, “উৎসবে এসে প্রাণ ফিরে পাই। প্রকৃতির পরশে মন জুড়িয়ে যায়। এখানে সুরের মূর্ছনায় জীবন যেন ছন্দ পায়, নদীর মতো প্রবাহ হয়। ”