‘হারানো মোবাইল পাইয়ে দিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ’, স্বামী-স্ত্রীসহ আটক ৪

রাজশাহীতে ওই নারীকে ধর্ষণের সময় গোপনে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে পরে চাঁদা দাবি করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2024, 01:16 PM
Updated : 9 Feb 2024, 01:16 PM

রাজশাহীতে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন খুঁজে দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ‘ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের’ অভিযোগে তিন নারীসহ চারজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে ভুক্তভোগী নারীকেও উদ্ধার করে র‍্যাব।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে র‍্যাবের রাজশাহী সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। 

আটকরা হলেন- নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকার নরুল ইসলামের ছেলে আলমগীর রয়েল (৪০), তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০), হেলেনার বোন দিলারা বেগম (৩৫) ও তাদের সহযোগী চন্দ্রিমা থানার উপড়ভদ্রা এলাকার আফজাল হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪২)।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ওই নারী কেনাকাটা করতে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন এলাকায় যান। সেখানে তার মোবাইল ফোন চুরি যায়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে আলমগীরের সঙ্গে ওই নারীর দেখা হয়।

“পূর্বপরিচিত আলমগীর ওই নারীকে মোবাইল ফোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করেন আলমগীর।

“তবে সেখানে আগে থেকেই আলমগীরের স্ত্রী হেলেনা, তাদের সহযোগী দিলারা ও মমতাজ উপস্থিত ছিলেন। তারা গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন।”

পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে তাকে আটকে রাখা হয় বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

মুনীম ফেরদৌস বলেন, ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাবের একটি দল। ওই বাড়ি থেকে আলমগীর ও তার স্ত্রীসহ চারজনকে আটক করা হয়।

আটক চারজনের বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আলমগীরের বিরুদ্ধে আগেও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা আছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।