সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যায় মামলা হয়নি

নিহত আব্দুল কুদ্দুস সরকার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। পুলিশ বলছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে রোববার স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজ, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অতিরিক্ত ডিআইজি নিহত আব্দুল কুদ্দুস সরকারের (৬০) স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১০ থেকে ১৫ জন অস্ত্রধারী উপজেলার ভোগলমান চারমাথা বাজারে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস সরকারের দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাকে চারটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যু হয়।

সিরাজগঞ্জে দোকানে ঢুকে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হননি। সার্বিক দিক তদন্ত করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে বলে জানান তিনি।  

এদিকে, রোববার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে আব্দুল কুদ্দুসের মরদেহ ভোগলমান গ্রামের নিজ বাড়িতে আনা হয়।

বাদ আসর জানাজা শেষে দাদার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ খন্দকার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা ছিলেন।