একের পর এক মেগাপ্রকল্প চালুতে বিএনপির গাত্রদাহ: কাদের

“বিএনপি-জামাত অশুভ জোট ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল,” বলেন তিনি।

ফাইল ছবি

একের পর এক মেগাপ্রকল্প চালু করার বিষয়টিকে বিএনপি নেতারা মেনে নিতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “দেশের মানুষের কল্যাণে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একের পর এক মেগাপ্রকল্প উদ্বোধন করে যাচ্ছেন, যা বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করছে। এ কারণেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ।”

বুধবার বিকালে এক বিবৃতিতে নিজেদের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিবৃতিটি সংবাদমাধ্যমে পাঠান।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, “রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি কোনো উন্নয়ন করেনি, বরং দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত থেকে বাংলাদেশের ললাটে টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের কালিমা লেপন করেছিল।

“তাই তারা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প নিয়ে ধারাবাহিকভাবে অবান্তর ও মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করছে।"

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমেরিকা-ইউরোপসহ পৃথিবীর উন্নত দেশে পারমাণবিক শক্তি আজ মানবিক কল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের ৩২টি দেশে ৪৩৮টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।

“সমস্ত পৃথিবীতে উৎপাদিত বিদ্যুতের শতকরা ১০ ভাগ আসে পারমাণবিক শক্তি থেকে। ফ্রান্সে শতকরা ৭৫ ভাগ ও যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ২০ ভাগ বিদ্যুৎ পারমাণবিক শক্তি থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। শূন্য কার্বন নিঃসরণের কারণে এটি সর্বোচ্চ পরিবেশবান্ধব।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের প্রতি ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন মিথ্যাচার’ না করতেও আহ্বান জানিয়েছেন কাদের।

তিনি বলেন, “এ ধরনের পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন বিএনপির পছন্দ নয়, তাই তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আজ বিষোদগার করছে। কতটা সংকীর্ণ মানসিকতার হলে- বিএনপির মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ ধরনের মেগাপ্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারে। দেশবাসী জানে- তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হচ্ছে গুজব মিথ্যাচার আর অপপ্রচার।

“যে দলের শীর্ষ নেতা ‘জোড়া তালির পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবে না ‘ বলে হুমকি দিয়েছিল, সে দলের মহাসচিবের পক্ষেই এ ধরনের অবান্তর ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রদান করা সম্ভব। পলিটিক্যাল হিউমারের বিষয়বস্তুকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার মতলব পরিহার করুন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত মিথ্যাচারের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।"

আওয়ামী লীগ কখনও হত্যার রাজনীতি করে না মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “হত্যাকারীর দল হল বিএনপি। বিএনপি নেতারা বিশ্বজনীন স্বীকৃত সত্যকে বিকৃত করে দেশে আজ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলব ছিল জিয়াউর রহমান।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া বিএনপির জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ সম্প্রসারণে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক সার্ভিস চালু করেছিলেন।

“কিন্তু বিএনপি-জামাত অশুভ জোট ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। বিএনপি-জামাত দেশবিরোধী অপশক্তি সর্বদাই দেশের জনগণের অমঙ্গল কামনা করে।"