শামীম ওসমানের আচরণবিধি ভঙ্গের ‘সত্যতা’ পেয়েছে কমিটি

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ নির্বাচনে শামীম ওসমানসহ চার জনের আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের ‘সত্যতা’ পেয়েছে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2014, 11:39 AM
Updated : 17 July 2014, 12:14 PM

তবে  এ বিষয়ে ‘নিশ্চিত’ হতে আরো তদন্ত প্রয়োজন বলে নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করেছে এ কমিটি।

নির্বাচনী তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান চলতি সপ্তাহেই ইসি সচিব বরাবরে এই প্রতিবেদন পাঠান।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তারা হাতে পেলেও এখনো তা কমিশনের বৈঠকে তোলা হয়নি।

ইসির আইন শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোশারফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নারায়ণগঞ্জ উপ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। শিগগিরই তা কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে।”

তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ হাবিবা মণ্ডল ও কমিটির সদস্য সহকারী জজ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই প্রতিবেদনে চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান, সহকারী পুলিশ সুপার মো. বশির উদ্দিন, র‌্যাব-১১ এর মেজর সোহেল ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম।

গত ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে শামীমের পাশাপাশি তার বড় ভাই নাসিম ওসমান লাঙল প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর তিন মাসের মাথায় তার মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়।

এরপর ২৬ জুন ওই আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী  ব্যবসায়ী নেতা এ কে এম সেলিম ওসমান, যিনি শামীম ও নাসিমেরই ভাই।

ভোটের দিন শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘হুমকি’ দেয়ার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

সেদিন বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদও বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকির অভিযোগ তদন্ত করে দেখবেন তারা। ইলেকটোরাল এনকোয়ারি কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তদন্ত প্রতিবেদনে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ‘ধরন’ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা না হলেও নির্বাচনী তদন্ত কমিটি ‘স্ব-উদ্যোগে’ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ও পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে তদন্ত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

তদন্তের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি, স্থানীয় ব্যক্তিদের বক্তব্য, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, এএসপি বশিরউদ্দিনের মোবাইল ফোনের কল লিস্টও পর‌্যালোচনা করে কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্তদের বিষয়ে নিশ্চিত হতে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।”

সুপারিশে বলা হয়, “কমিটি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারে।”

একজন নির্বাচন কমিশনার ইতোমধ্যে বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তা পর‌্যালোচনা করে ইসি সিদ্ধান্ত দেবে। এ নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য নয়।