বুধবার শাহবাগ মোড়ে এক সমাবেশ থেকে জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির নেতা আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন জানান, আগামী ৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরর নির্বাচনের দিনকে ‘কালো দিবস’ আখ্যা দিয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিলের কর্মসূচি ছিল জোটের।
পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে মিছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে এগোলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে ব্যারিকেড ভেঙে পরে জোটের কর্মীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এসময় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। প্রায় আধঘণ্টা ধরে মোড়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন বামপন্থীরা।
এর আগে পল্টন মোড়ে সমাবেশে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, “২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি লজ্জার দিন। যতদিন এই লজ্জা থাকবে ততদিন বামরা পথে থাকবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “৩০ ডিসেম্বর মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মানুষের কথা বলার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে এই অগণতান্ত্রিক সরকার। কথা বললেই তারা ডিজিটাল আইনে মামলা করছে। রাষ্ট্রকে দমন-পীড়নের যন্ত্র বানানো হয়েছে।
আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি রাষ্ট্রপতিকে গ্রিন সিগনাল দিন। তিনি সংলাপের আয়োজন করি। দেশকে এই অন্ধকার থেকে মুক্ত করি।"
সমাবেশ শেষে বাম জোটের মিছিল প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। তবে জোটের কর্মীরা পুলিশকে সরিয়ে মিছিল নিয়ে সামনে এগোন। পরে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বাম কর্মীদের হাতাহতি হয়। পুলিশের বাধার মুখে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে করার মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে পুনঃক্ষমতাসীন হয়েছে। এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতাসীন রয়েছে। এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক কোনো অধিকার নেই। পদত্যাগ না করলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
তারা নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করে তবে রাষ্ট্রপতির কর্তব্য হবে তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্বাচন কমিশনকে বরখাস্ত করা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা জোনায়েদ সাকী, বাসদের (মার্কসবাদী) জহিরুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সিরাজুম মুনীর প্রমুখ।