আসুন, প্রকৃত ইসলামের চর্চা করি: কাদের

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে বলে সন্দেহ পোষণ করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2020, 10:13 AM
Updated : 28 Nov 2020, 10:14 AM

তাই ধর্ম নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ না করে প্রকৃত ইসলামের চর্চা করার জন্য ইসলামী দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জাতির পিতার ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারীদের হুমকি-ধমকির মধ্যে শনিবার ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

মুজিববর্ষে ঢাকার ধোলাইড়পাড়ে বঙ্গবন্ধুর যে ভাস্কর্য সরকার স্থাপন করছে, তার বিরোধিতায় নেমেছে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী কয়েকটি দল।

শুক্রবার চট্টগ্রামে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির জুনাইদ বাবুনগরী হুমকি দিয়েছেন, যে কোনো দল ভাস্কর্য বসালে তা ‘টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেওয়া’ হবে।

তার প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, “বাংলাদেশের স্থপতির ভাস্কর্য টেনে, হিঁচড়ে নামাবে বলে কোনো কোনো ধর্মীয় নেতা ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন। তাদের এমন রুচি এবং ভাষা ব্যবহার দেখে তাদের ধর্মচর্চা ও ইসলামী রুচিবোধ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।”

তিনি বলেন, “ভাস্কর্যকে যারা মূর্তি বলে অপপ্রচারে নেমেছে, তারা নিজেরাই ভ্রান্তিতে আছে। দেশের আলেম সমাজ এবং বিশেষজ্ঞগণ ইতিমধ্যেই বারবার বলেছেন, মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়।”

ইসলামী দলগুলোর উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ইসলাম আমাদের ধর্ম। এ ধর্মের বিধি-বিধানে ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ির সুযোগ নেই। আসুন প্রকৃত ইসলাম চর্চা করি। ধর্ম নিয়ে বারাবাড়ি থেকে বিরত থাকি। ধর্মকে রাজনৈতিক ইস্যুতে ব্যবহার না করি।”

ভাস্কর্য বিরোধিতার পেছনে অন্য উদ্দেশ্যের বিষয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রিয় মানুষের মনে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে।”

তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।

বিভ্রান্তিতে না পড়তে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে ইসলামের প্রসারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ দেশে ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা, চর্চা এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে মাদ্রাসা বোর্ড পুনর্গঠনসহ ইসলাম প্রচারে তাবলিগ জামাতকে জমিও দিয়েছিলেন।

“বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পবিত্র ধর্মের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুসারী হিসেবে দেশের প্রতিটি উপজেলায় নির্মাণ করেছেন মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স। একজন ধর্মপ্রাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সরকার পরিচালনার দায়িত্বে, তখন এ দেশে ইসলামবিরোধী কোনো কার্যক্রম হবে, তা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।”