ভোটার অনুপস্থিতি গণঅনাস্থার বহিঃপ্রকাশ: বাম জোট

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের অনুপস্থিতি বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর গণঅনাস্থার প্রকাশ বলে মনে করছে গণতান্ত্রিক বাম জোট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2020, 07:09 PM
Updated : 2 Feb 2020, 07:09 PM

ঢাকা সিটি নির্বাচনের পরদিন রোববার জোটের এক বিবৃতিতে এই মন্ব্য করে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ‘তামাশায়’ পরিণত করায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাননি।

স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন বাম জোটের প্রায় সব দল বর্জন করলেও অংশ নিয়েছিল সিপিবি; ঢাকা উত্তরে তাদের মেয়র প্রার্থী ১৫ হাজারের বেশি ভোট পায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচন মানুষকে ভোটের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার পরিবর্তন যে সম্ভব, সে বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে তুলেছে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি।

“জনগণের ভোটকেন্দ্র বিমুখীনতার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ, তাদের ১৪ দলীয় জোট ও নির্বাচন কমিশন। এরা নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে।”

আওয়ামী লীগ ‘ভয়-ভীতি সঞ্চার করায়’ অধিকাংশ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত হয়েছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।

“ভোট কেন্দ্রের চতুর্দিকে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিবর্গ ও সরকার দলীয় লোকজনের উপস্থিতি মানুষকে ভোটবিমুখ করে তোলে। এজন্যও মানুষ ভয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের নিশ্চিত ভোটার ছাড়া অন্যদের তাড়িয়ে দেয় সরকার দলীয় সমর্থকরা। এমনকি ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে ঢুকে, ভোটারদের ভোটটিও দিতে না দিয়ে, সরকার দলীয় কর্মীরা নিজেরাই সে ভোট দেওয়ার কাজটিও সম্পন্ন করে।”

ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে যে অবিশ্বাস রয়েছে, তা এ নির্বাচনে আরও বেড়েছে বলে মনে করেন বাম নেতারা। 

নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, “নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে আওয়ামী সরকারের নির্লজ্জ তাবেদারি করে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকারের পছন্দ অনুযায়ী সাজানোর কাজ করেছে।”

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন ও কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জ্মান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক এই বিবৃতি পাঠান।