বুদ্ধিজীবী দিবসে গত শুক্রবার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া কামাল হোসেনকে জামায়াত বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এক সাংবাদিককে ‘খামোশ’ বলে সমালোচনার মুখে পড়েন। প্রশ্নকারী সাংবাদিককে চিনে রাখারও হুমকি দেন তিনি।
ওই ঘটনায় বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ-সমালোচনার মুখে শনিবার দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন তিনি।
রোববার সাভারে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরও স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে রাজনীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এবার কৌশলী পথে হাঁটেন কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, “আমরা যদি ঐক্য করি, সে ঐক্যকে সুসংহত করি- ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।
“যে কোনো দিক থেকে যদি কাজে লাগে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই জনগণের সে শক্তি আছে, আমরা স্বাধীনতাকে রক্ষা করব।”
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন।
ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ড. কামালের গণফোরামসহ বিভিন্ন দল বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছে। একই প্রতীক নিয়ে ভোটে আছে বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর প্রায় দুই ডজন নেতাও।
স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কামাল হোসেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধরে রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও লাঠিয়ালদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমাদের লাখো লাখো শহীদ জীবন দিয়েছিল। তাদের মূল্যবোধে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সাথে সাথে বলতে হবে, এখানে কোনো রকমের সন্ত্রাস, জোরজবরদস্তি ও লাঠিয়ালদের ভূমিকা মেনে নেওয়া যায় না।”
কামাল হোসেন আরও বলেন, “যারা রুগ্ন রাজনীতি করে, লাঠিয়াল ব্যবহার করে, যারা কালোটাকা ব্যবহার করে, তারা জনগণকে মর্যাদা দেয় না- এগুলোর ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
“ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা অবশ্যই স্বাধীনতা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ- সবকিছুকে রক্ষা করব, এগিয়ে নিয়ে যাব। ঐক্যবদ্ধ জনগণের বিজয় অনিবার্য।”
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুও ছিলেন।