রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচন পেছাবে কী না পেছাবে সেটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। নির্বাচনের শিডিউল সংক্রান্ত সব বিষয় নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে।”
নির্বাচন পেছালে আওয়ামী বা ১৪ দল আপত্তি করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের তফশিল ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। কমিশন নির্বাচন পেছাতে চাইলে দলীয়ভাবে আমরা কোনো আপত্তি করব না।”
তবে নির্বাচন পেছানো হলে তা যৌক্তিকভাবে করতে হবে এবং যে দলগুলো জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে, তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন কাদের।
২৩ ডিসেম্বর ভোটের দিন রেখে নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করেছে, সেখানে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা এবং ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রাখা হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে পাঁচ বছর আগে নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি এবারও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে আসছিল। পাশাপাশি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ছিল তাদের।
কিন্তু এসব দাবির বিষয়ে সরকারের সাড়া না পেয়ে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয় বিএনপি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের দুই দফা সংলাপেও কোনো সমঝোতা হয়নি।
ঐক্যফ্রন্ট সমঝোতার আগে তফসিল ঘোষণা না করার দাবি জানালেও গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওই তফসিলকে ‘ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
বিএনপির সাবেক নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টও নির্বাচন সাত দিন পেছানোর দাবি জানিয়েছে।
দেশের ক্রিকেটের প্রয়োজনে সাকিব আল হাসানকে নির্বাচনে আসতে নিরুৎসাহিত করা হলেও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফিকে কেন আনা হচ্ছে জানতে চাইলে কাদের বলেন, “মাশরাফির বিষয়টি দীর্ঘদিন আগে থেকেই সুরাহা হয়ে আছে। সেও নির্বাচনী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
“সাকিবের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের স্বার্থে আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাকে ক্রিকেটে থাকতে হবে। আমাদের দলের চেয়ে দেশের স্বার্থ বড়। তাই সাকিবকে ক্রিকেটে থাকতে বলা হয়েছে।”
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।