‘জামায়াত সংশ্লিষ্ট’ আওয়ামী লীগ নেতাদের তালিকা করছেন মিছবাহুর

রাজনৈতিকভাবে বিরোধিতা করলেও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেক নেতারই ব‌্যবসা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসলামী ঐক‌্যজোটের একাংশের চেয়ারম‌্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2016, 11:41 AM
Updated : 8 August 2016, 11:42 AM

সোমবার মতিঝিলের একটি রেস্তোরাঁয় ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ইমাম, খতিব এবং ওলাম মাশায়েখদের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।

ইসলামী ঐক‌্যজোটের জামায়াতবিরোধী অংশের এই নেতা বলেন, “আমাদের কাছে তালিকা আছে, আওয়ামী লীগের অনেক লোকজন জামায়াতের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করছে।”

এই কারণে জামায়াতের অনেক নেতাকে ধরা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মিছবাহুর, যাকে আওয়ামী লীগঘেঁঘা বলে থাকেন ইসলামী ঐক‌্যজোটের বিএনপি জোটভুক্ত অংশের নেতারা।

“জামায়াত-শিবিরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাবে কীভাবে? তারা তো বড় বড় টাওয়ারে থাকে। আর সেই টাওয়ারের সামনে আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড থাকে।”

এই সভায় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ ছিলেন প্রধান অতিথি। তবে তিনি মিছবাহুরের অভিযোগের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

সভায় বক্তব‌্যের পর মিছবাহুরকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, আওয়ামী লীগের কতজন নেতা জামায়াত নেতাদের সঙ্গে ব্যবসা করছেন বলে তার কাছে তথ‌্য আছে?

মিছবাহুর রহমান চৌধুরী

“তালিকা আমরা প্রস্তুত করছি। তবে ঢাকা মহানগরেই এ পর্যন্ত ৩০ জনকে পেয়েছি, যারা জামায়াতের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করছে।”

জামায়াতের শীর্ষনেতাদের যুদ্ধাপরাধের দায়ে শাস্তি হওয়ার পর দলটি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে নাশকতা এবং জঙ্গি তৎপরতায় মদদ দেওয়ার জন‌্যও দলটিকে দুষছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

মিছবাহুর বলেন, “জামায়াত শুধু বাংলাদেশের জন্য হুমকি নয়। তারা উপমহাদেশের জন্য হুমকি।”

তরুণদের ইসলামের অপব‌্যাখ‌্যা দিয়ে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত করা হচ্ছে দাবি করে এর হোতাদের চিহ্নিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান ইসলামী ঐক‌্যজোটের এই নেতা।  

মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম, খতিব ও অধ্যক্ষরা বক্তব্য রাখেন। তারা আলেমদের নিয়ে সারাদেশে জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন।

পুরান ঢাকার একটি মাদ্রসার অধ্যক্ষ মুফতি হোসাইন মাহমুদ বলেন, “যাদের ইসলাম সম্পর্কে অল্প জ্ঞান আছে তাদেরকেই এসব পথে নিয়ে আসছে। যারা ইসলাম ও কোরআন-হাদিস জানে, তারা ভালো করেই জানে যে ইসলাম শান্তির ধর্ম।”