এডুহেম নামে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োজেনের তৈরি এই ওষুধ আলঝেইমারের উপসর্গ নয়, অন্তর্নিহিত কারণ দূর করে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মানুষের এমন করুণ পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি নতুন চিকিৎসাকে দাতব্য সংস্থাগুলো স্বাগত জানালেও এর প্রায়োগিক ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে এর সম্ভাব্য প্রভাব কি হবে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভক্ত।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (এফডিএ) এডুহেম (এডুকানুম্যাব) ব্র্যান্ড নামের নতুন ওষুধটির অনুমোদন দেয়।
এফডিএর কর্মকর্তা প্যাট্রিজিয়া কাভাজ্জোনি এক বিবৃতিতে বলেন, কোনো রোগের প্রচলিত চিকিৎসায় নতুন ওষুধ অর্থপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হলে, সেই ওষুধের অনুমোদন দেওয়া হয়।
“আলঝেইমারের নতুন ওষুধটির অনুমোদন দেওয়ার পেছনেও এমন ধারণা কাজ করেছে। তবে এখানেও এটির কার্যকারিতা নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা আছে।”
পরীক্ষায় দেখা গেছে, আলঝেইমারে আক্রান্ত রোগীদের মস্তিষ্কের কোষে বেটা–অ্যামিলয়েড নামের একটি প্রোটিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এডুহেম।
একটি তত্ত্বে জানা যায়, কারও কারও ক্ষেত্রে বয়স বাড়লে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এ প্রোটিনের উপস্থিতি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। ফলে আলঝেইমার দেখা দেয়।
আলঝেইমারের চিকিৎসায় সর্বশেষ ২০০৩ সালে ওষুধের অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এডুহেমের আগে যেসব ওষুধের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর সবই প্রয়োগ করা হয় আলঝেইমারের লক্ষণ বুঝে।
আলঝেইমারের কারণ সেখানে বিবেচনা করা হয় না। এবারই প্রথম আলঝেইমারের কারণ নির্মূলের ওষুধ অনুমোদন হলো।