তাদের এই লড়াই গড়িয়েছে আদালতে। আর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির সর্বশেষ আদেশ পক্ষে আসার পর নিপুণ বলেছেন, তার এই লড়াই ‘অপশিল্পীর’ বিরুদ্ধে।
হাই কোর্ট সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে স্বীকৃতি দিয়ে যে আদেশ দিয়েছিল, রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সেই আদেশ স্থগিত করেন নিপুণের আবেদনে।
আদালতের সেই আদেশের পর সন্ধ্যায় এফডিসিতে সাংবাদিকদের সামনে আসেন নিপুণ।
তিনি বলেন, “আমি প্রথম থেকেই বলেছি, চেয়ারের জন্য আমি যুদ্ধ করছি না। আমার যুদ্ধ একজন অপশিল্পীর বিরুদ্ধে, অপশক্তির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।”
নিজের আদালতের শরণ হওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী বলেন, ‘শিল্পীদের জন্যই’ তিনি আদালতে গেছেন।
“যখন আপনি আমাকে কোর্টে নিতে বাধ্য করেছেন, তখন আমি তো যাবই। আমি গিয়েছি এবং ন্যায় বিচার পেয়েছি।”
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় গত ২৮ জানুয়ারি, পরদিন ঘোষিত ফলে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চনকে এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলে দেখা যায়, জায়েদ খান হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ১৩ ভোটে হারিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন প্যানেলের নিপুণকে।
নির্বাচনের সময়ই টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ। তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি আপিল করেন।
নির্বাচনী আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করলে শপথ নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন নিপুণ।
কিন্তু জায়েদ খানের আবেদনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয় হাই কোর্ট।
হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন নিপুণ। তখন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওই পদে ‘স্থিতাবস্থা’ জারির আদেশ দেন। সেই সঙ্গে জায়েদ খানের রিট আবেদনে যে রুল জারি হয়েছিল, হাই কোর্টকে তা নিষ্পত্তি করতে বলে।
সেই রুলের উপর শুনানি শেষে হাই কোর্ট গত বুধবার নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে রায় দেয়।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণ আপিলের আবেদন করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি রোববার হাই কোর্টের রায় স্থগিতের পাশাপাশি ৪ এপ্রিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন নিপুণের আবেদন।