‘কারেন্সি সোয়াপ’ চালু হওয়ার পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়াতেও ভূমিকা রাখছে।
Published : 28 Feb 2024, 12:03 AM
তারল্যের চাহিদা মেটাতে ‘কারেন্সি সোয়াপ’ পদ্ধতির অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় ৫৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা জমা দিয়ে টাকা নিয়েছে ১২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
৩০ দিন মেয়াদে সবগুলো ব্যাংক এ সুবিধা নিয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত ১২টি ব্যাংক ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার নিয়েছে কারেন্সি সোয়াপ করে।’’
কারেন্সি সোয়াপ হল সর্বনিম্ন ৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা জমা রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ টাকা নেওয়ার পদ্ধতি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন এ পদ্ধতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ পদ্ধতিতে মেয়াদ শেষে টাকা ফেরত দিয়ে জমা দেওয়া অর্থের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংক।
তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকের উপর নির্ভরশীলতা কমানো ও রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ পদ্ধতি চালু করেছে, যাতে যে কোনো সর্বনিম্ন ৫০ লাখ বিদেশি মুদ্রা বা সমপরিমাণ টাকা অদল-বদল করা যায়।
সুবিধাটি চালু হওয়ার পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়াতেও ভূমিকা রাখছে।
এর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির প্রথম তিন সপ্তাহে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিপিএম৬ হিসেবে গ্রস রিজার্ভ হয়েছে ২০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসেবে তা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
জানুয়ারি শেষে বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসেবে তা ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে এখন শুধু বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে।